শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা আবাসিক হল ত্যাগ করেছে

শাবিপ্রবি প্রতিনিধি
১৮ জুলাই ২০২৪, ১৩:৩২
শেয়ার :
শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা আবাসিক হল ত্যাগ করেছে

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আবাসিক শিক্ষার্থীরা সুশৃঙ্খলভাবে হলে ত্যাগ করেছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপাচার্য।

শিক্ষার্থীরা হল ত্যাগের বিষয়ে তিনি বলেন, গতকাল নির্দেশনা দেওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী হল ত্যাগ করেছে। কিছু রয়েছিল তারাও আজকে চলে গেছে। হল ত্যাগের সময় শিক্ষার্থীরা কোন ধরণের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেনি, সবাই সুশৃঙ্খলভাবে হল ত্যাগ করেছে। তবে ক্যাম্পাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য আসলেও আমরা তাদেরকে কোন ধরণের বল প্রয়োগ করতে দেয়নি। 

উপাচার্য বলেন, আমাদের হলে কিছু বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থী ছিল, তাদেরকে আপাতত বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথি ভবনে আমরা রাখার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। বর্তমানে হলে কোন শিক্ষার্থী অবস্থান করছে না। শিক্ষার্থীরা সুশৃঙ্খলভাবে হল ত্যাগ করায় আমি তাদের প্রতি ধন্যবাদ জানাই। 

তিনি আরও বলেন, আমরা দেখছি গতদিনগুলোতে ক্যাম্পাসে অনেক বহিরাগত প্রবেশ করেছিল। তাই শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এখন কাউকেই ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। 

এদিকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক, গোলচত্বর, ছাত্র-ছাত্রীদের হলসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ, সোয়াট, সিআরটি টিমের ৫ শতাধিক সদস্য জল কামানসহ অবস্থান নিতে দেখা যায়। 

পরে পুলিশ শিক্ষার্থীদের হলে গিয়ে হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং হলগুলোর প্রভোস্টকে সঙ্গে নিয়ে হলে হলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের বের করে দেওয়া হয়। 

এরপর সকাল ১০টার দিকে হলগুলো শিক্ষার্থীশূন্য হয়ে যায়। তবে শিক্ষার্থীরা হল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক দিয়ে বের হওয়ার সময় কয়েকজন শিক্ষার্থীকে পুলিশ লাথি ও কিল-ঘুষি মারতে দেখা গেছে। 

অন্যদিকে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে সামনে অবস্থান নিয়েছে, অন্যদিকে পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে অবস্থান নেয়। 

গতকাল বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরুরি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। ফলে এদিন বিকাল ৩টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশনা দেয়। এর পর থেকেই শিক্ষার্থীরা হল ত্যাগ করতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।