শিমুল-তানভীরের জামিন নামঞ্জুর

আদালত প্রতিবেদক
১০ জুন ২০২৪, ১৭:৩৩
শেয়ার :
শিমুল-তানভীরের জামিন নামঞ্জুর

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলায় আসামি শিমুল ভূঁইয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভূঁইয়া ওরফে আমানউল্লাহ সাঈদ ও তানভীর ভূঁইয়ার জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হকের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

আসামিদের পক্ষের আইনজীবী সোহেল আমিন জামিন শুনানিতে বলেন, ‘আসামিরা নির্দোষ, নিরপরাধ। ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। একাধিকবার তাদের রিমান্ডে নেওয়া হয়। তবে কোনো কিছু উদ্ধার হয়নি। তাদের স্থায়ী ঠিকানা আছে। জামিন দিলে তারা পলাতক হবেন না।’ শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুরের আদেশ দেন।

মামলা দায়েরের পর শিমুল ভুইঁয়া, তানভীর ভুইঁয়া ও শিলাস্তি রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। দুই দফায় তাদের ১৩ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। পরে তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেন।

এদিকে, গত ৯ জুন এ মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবুর ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

উল্লেখ্য, আনোয়ারুল আজিমের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন গত ২২ মে শেরে বাংলা নগর থানায় এ মামলা করেন।

মামলায় ডরিন উল্লেখ বলেন, ‘মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের বাসায় (ন্যাম ভবন) আমরা সপরিবারে বসবাস করি। গত ৯ মে রাত ৮টার দিকে আমার বাবা আনোয়ারুল আজিম আনার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ যাওয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেন। গত ১১ মে বিকাল পৌনে ৫টার দিকে বাবার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বললে বাবার কথাবার্তায় কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এরপর বাবার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও বন্ধ পাই।’

এজাহারে ডরিন উল্লেখ করেন, ‘গত ১৩ মে বাবার ভারতীয় নম্বর থেকে উজির মামার হোয়াটসঅ্যাপে একটি ক্ষুদে বার্তা আসে। এতে লেখা ছিল, ‘‘আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি, আমার সঙ্গে ভিআইপি রয়েছে। আমি অমিত সাহার কাজে নিউটাউন যাচ্ছি। আমাকে ফোন দেওয়ার দরকার নাই। আমি পরে ফোন দেব।’’ এ ছাড়া আরও কয়েকটি বার্তা আসে। ক্ষুদে বার্তাগুলো আমার বাবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরণকারীরা করে থাকতে পারে।’

তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় বাবার খোঁজ করতে থাকি। কোনো সন্ধান না পেয়ে তার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস বাদী হয়ে ভারতীয় বারানগর পুলিশ স্টেশনে সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপরও আমরা খোঁজাখুঁজি অব্যাহত রাখি। পরবর্তীতে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানতে পারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজসে বাবাকে অপহরণ করেছে।’