আমাদের সময়ের ডেপুটি ম্যানেজার সুমনের জন্য দোয়া

অনলাইন ডেস্ক
০৭ মে ২০২৪, ১৭:৩৭
শেয়ার :
আমাদের সময়ের ডেপুটি ম্যানেজার সুমনের জন্য দোয়া

জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ৯ এপ্রিল মারা যান দৈনিক আমাদের সময়ের মার্কেটিং বিভাগের ডেপুটি ম্যানেজার সাইফুজ্জামান সুমন। তার স্মরণে দৈনিক আমাদের সময়ের উদ্যোগে আয়োজন করা হয় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠান।

সম্প্রতি দৈনিক আমাদের সময়ের কনফারেন্স রুমে এ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিএইচপি ফ্যামেলির সিনিয়র নির্বাহী পরিচালক (ফাইন্যান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস) মোস্তফা জামাল হোসেন। 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আমাদের সময়ের নির্বাহী সম্পাদক মাঈনুল আলম।

তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে ভর্তি থেকেও সুমন অফিসের প্রতি দায়িত্বশীলতা দেখিয়েছেন তা বিরল। অত্যন্ত শান্ত, ভদ্র ও ভালো মানুষ ছিলেন সুমন। তাকে হারিয়ে আমরা ব্যথিত।’

সাইফুজ্জামান সুমনের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে মাঈনুল আলম আরও বলেন, ‘আমি আমাদের সময় পরিবার ও কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি এবং তার আত্মার শান্তি কামনা করছি। মহান আল্লাহ পাক তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুন।’

আমাদের সময়ের ভারপ্রাপ্ত হেড অব মার্কেটিং মো. রাশিদুল হাসান উপস্থাপনায় দোয়া অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পিএইচপি ফ্যামেলির ডিজিএম (কর্পোরেট কমপ্লেয়িন্স) সৈয়দ এনামুল হক, ভারপ্রাপ্ত নিউজ এডিটর আশরাফুল ইসলাম, বিভিন্ন বিভাগের প্রধান ও তার সহকর্মীরা। 

দোয়া অনুষ্ঠানে কথা বলেন সাইফুজ্জামান সুমনের স্ত্রী। এ সময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। এছাড়া সুমনকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন তার সহকর্মীরা। এ সময় পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে। 

মাত্র ৪২ বছর বয়সে গত ৯ এপ্রিল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সাইফুজ্জামান সুমন।

সাইফুজ্জামান সুমন কয়েক মাস ধরে জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় এক সপ্তাহ ধরে তাকে আইসিইউতে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

সাইফুজ্জামান সুমনের মৃত্যুতে দৈনিক আমাদের সময় পরিবার, তার সহকর্মী, কর্মস্থল ও স্বজনদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। তার মৃত্যুর খবর পেয়ে অসংখ্য বন্ধু, সহকর্মী ও স্বজন বিএসএমএমইউতে ছুটে যান।

সাইফুজ্জামান সুমনের বাড়ি ঝিনাইদহ শহরের রতনহাট গ্রামে। তিনি স্ত্রী ও এক কন্যা শিশু রেখে গেছেন।