জালিয়াতির মামলায় সিটি ব্যাংক কর্মকর্তার ২৬ বছরের কারাদণ্ড
সিটি ব্যাংকের গ্রাহকদের কাছ থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে দুই কোটি ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার মামলায় প্রতিষ্ঠানটির সাবেক সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কার্ড ডিভিশনের প্রধান মুসাব্বির রহিমকে ২৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন এই রায় ঘোষণা করেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী বেলাল হোসেন এ তথ্য জানান।
রায়ে দুই ধারায় সাত বছর করে ১৪ বছরের কারাদণ্ড, পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা করে ৪০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অনাদায়ে আরও ৬ মাস করে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আরেক ধারায় ১০ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অপর আরেক ধারায় দুই বছরের কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে এই সাজা একত্রে চলবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে তাকে সর্বোচ্চ সাজা ভোগ করতে হবে।
মুসাব্বির রহিম জামিনে ছিলেন। তার পক্ষে আজ অসুস্থতা কারণে আইনজীবী সময় আবেদন করেন। আদালত সময় আবেদন নামঞ্জুর পর জামিন বাতিল করে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৫ নভেম্বর থেকে ২০১৪ সালের ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে জালিয়াতির মাধ্যমে সিটি ব্যাংক ও এর গ্রাহকদের কাছ থেকে দুই কোটি ৫০ লাখ টাকার অধিক হাতিয়ে নেন। এ অভিযোগে ২০১৬ সালের ১৮ অগাস্ট প্রধান কার্যালয়ের লিগ্যাল ডিভিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট এ.কে.এম. আইয়ুব উল্যাহ বনানী থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর দুদকের সহকারী পরিচালক মনিরুল ইসলাম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট মুসাব্বির রহিমের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ২১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন:
ভারত সফরে গেলেন প্রধান বিচারপতি