বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যার দায়ে ভাতিজার যাবজ্জীবন

আদালত প্রতিবেদক
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৪৪
শেয়ার :
বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যার দায়ে ভাতিজার যাবজ্জীবন

ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জের পশ্চিম রোহিতপুর এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আলীকে হত্যার অভিযোগে ভাতিজা ঠান্ডুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। আজ বুধবার ঢাকার ৮ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মিনহাজুল মনিরার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

এছাড়া নিহতের মেয়ে জেলিনা আক্তার মৌকে গুরুতর আঘাতের দায়ে তাকে আরও ১০ বছরের কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাকে আরও এক মাস কারাভোগ করতে হবে। বাদীপক্ষের আইনজীবী কামরুজ্জামান (জসি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রায় ঘোষণার আগে ঠান্ডুকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

মামলা থেকে জানা গেছে, ঠান্ডুর বাবা মারা যাওয়ার পর সে তার সম্পত্তি চাচা মোজাফফর আলীর কাছে বিক্রি করে অন্যত্র চলে যায়। মাঝে মধ্যে ঠান্ডু তার চাচার কাছে এসে খরচের টাকা দাবি করে নিয়ে যেত। ২০২১ সালের ১৫ জুলাই সে তার চাচার কাছে ৫০০ টাকা চায়। মোজাফফর আলী তাকে ২০০ টাকা দিয়ে বলেন আর নেই। তিনি বাড়ির সামনে টিউবওয়েলে গোসল করতে যান। ঠান্ডু অতর্কিতভাবে সেখানে গিয়ে চাচার পেটে চাকু ঢুকিয়ে দেয়। এ সময় তার বড় মেয়ে জেলিনা আক্তার বাবাকে বাঁচাকে গেলে তাকেও আহত করে ঠান্ডু। পরে দুইজনকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোজাফফর আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় পরদিন মোজাফফর আলীর স্ত্রী নার্গিস বেগম মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ঠান্ডুকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুবুর রহমান হামিদ। এরপর তার বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।