ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক পরিচালক রন ও রিকের বিরুদ্ধে মামলা
ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক দুই পরিচালক রন হক সিকদার ও রিক হক সিকদারসহ সাতজনের নামে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ ট্রানজেকশন গাইডলাইন্স (জিএফইটি) লঙ্ঘন করে ভ্রমণ কোটায় ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লিমিটের অতিরিক্ত ব্যয় করে ৭১ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন।
গতকাল রবিবার দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ কমিশনের পরিচালক মো. বেনজীর আহম্মদ বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন।
রন হক ও রিক হক সিকদার ছাড়া মামলার অপর আসামিরা হলেন ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের দুই সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ সৈয়দ আব্দুল বারী ও চৌধুরী মোশতাক আহমেদ, দুই সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ ওয়াদুদ ও এ এস এম বুলবুল, সাবেক এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং হেড অব কার্ড ডিভিশন মো. মাহফুজুর রহমান।
রন হক সিকদারকে প্রধান আসামি করে দায়ের করা একটি মামলায় বলা হয়, রন হক সিকদারের ফরেন কারেন্সি অ্যাকাউন্টে ব্যালেন্স না থাকা সত্ত্বেও বিধি বহির্ভূতভাবে ২০১৭ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে সাতটি ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লিমিটের অতিরিক্ত ৫০ কোটি টাকার সমপরিমাণ ডলার বিদেশে ব্যয় করেন। পরে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে অর্থ পাচার করে তা দিয়ে উক্ত ক্রেডিট কার্ডসমূহের ঋণ পরিশোধের মাধ্যমে পাচার করা অর্থ হস্তান্তর/স্থানান্তর, রূপান্ত ও গোপন করার মাধ্যমে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেন।
রন হক সিকদারের বড় ভাই রিক হক সিকদারে নামে দায়ের হওয়া অপর মামলার বলা হয়, ব্যাংকিং রেগুলেশন অ্যান্ড পলিসি ডিপার্টমেন্টের বিধি লঙ্ঘন করে ছয়টি ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে বিদেশে লিমিটের অতিরিক্ত ২১ কোটি ৫৩ লাখ টাকার সমপরিমাণ ডলার ব্যয় করেন। পরে বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার করে তা দিয়ে উক্ত ক্রেডিট কার্ডগুলোর ঋণ পরিশোধ করেন।
উভয় মামলার এজাহারে বলা হয়, রন হক সিকদার ও রিক হক সিকদার ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালক থাকাকালীন অবৈধ আর্থিক সুবিধা গ্রহণের লক্ষ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ব্যাংকের তৎকালীন অপর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লিমিটের অতিরিক্ত অর্থ বিদেশে ব্যয় দেখিয়ে পাচার করেন।
আরও পড়ুন:
ভারত সফরে গেলেন প্রধান বিচারপতি