নেদারল্যান্ডসে স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উদযাপিত
যথাযোগ্য মর্যাদায় এবং উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলাদেশ দূতাবাস, দি হেগ কর্তৃক মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস ২০২৪ উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় সংগীত পরিবেশনার সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
সন্ধ্যায় স্বনামধন্য ম্যারিয়ট হোটেল, দি হেগ এ একটি জাঁকজমকপূর্ণ অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রাষ্ট্রদূত এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ, তার সহধর্মিণী মিজ সাজিয়া আহমেদ এবং দূতাবাসের কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের অভ্যর্থনা জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেদারল্যান্ডসের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান মিনিস্টার অফ ষ্টেট ইয়ান পিটার বলকানান্দে। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা, নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, কূটনৈতিক কোরের সদস্যরা, প্রবাসী বাংলাদেশি পেশাজীবীসহ গুরুত্বপূর্ণ অতিথিরা।
বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। রাষ্ট্রদূত আমাদের স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ‘পাঁচ দশকে অনেক প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। আজ বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি এবং বিশ্বব্যাপী ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতি হিসাবে দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা অর্জন সম্ভব হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস টেকসই উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, সার্কুলার অর্থনীতিসহ অন্যান্য বিষয়ে বৈশ্বিক কল্যাণের জন্য একসাথে কাজ করছে।’
আরও পড়ুন:
২৪ দিনে রেমিট্যান্স এল ১৪৯ কোটি ডলার
নেদারল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইয়ান পিটার বলকানান্দে বাংলাদেশের বিস্ময়কর উন্নয়নের কথা উল্লেখ করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ কীভাবে সমৃদ্ধ হচ্ছে তার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানে দৃষ্টিনন্দন সাজসজ্জার মাধ্যমে বাংলাদেশকে তুলে ধরা হয়। প্রদর্শনী কর্নারে বাংলাদেশের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী পণ্যসামগ্রী প্রদর্শিত হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন নৌকার মিনিয়েচার যা আগত অতিথিদের মনোযোগ আকর্ষণ করে।
এ সময়ে বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, পর্যটন, উন্নয়ন ও সম্ভাবনার ওপর বিভিন্ন প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিল বাংলাদেশ থেকে আগত দুই জন স্বনামধন্য নৃত্যশিল্পী আলিফ ও মাটির পরিবেশনা। নৈশভোজে উপস্থিত অতিথিদের দেশীয় বিভিন্ন খাবার পরিবেশন করার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।