ব্রাসেল্‌সে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন

প্রবাস ডেস্ক
২৭ মার্চ ২০২৪, ২১:২২
শেয়ার :
ব্রাসেল্‌সে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন

বেলজিয়াম ও লুক্সেমবার্গে বসবাসরত বাঙালি কমিউনিটির সদস্যদের অংশগ্রহণে ব্রাসেল্‌সে বাংলাদেশ দূতাবাস মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ৫৩ তম বার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করেছে।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ৫৩ তম বার্ষিকীর আলোচনায় বেলজিয়াম ও লুক্সেমবার্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে মিশন প্রধান মাহবুব হাসান সালেহ্ বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি চেতনার নাম। যারা বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা করে না, তারা লাখো শহিদের রক্তে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকেও মেনে নেয় না।’

তিনি বলেন, ‘ঘাতকের দল যদি ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা না করতো তাহলে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী ও গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ যেখানে পৌঁছেছে, আরও আগে সেখানে পৌঁছে যেত।’ আগাছা-আবর্জনা পরিস্কার করে বাংলার পবিত্র মাটিকে পবিত্র রাখতে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তিকে একসঙ্গে কাজ করারও আহ্বান জানান তিনি।

দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনায় বেলজিয়াম ও লুক্সেমবার্গে বসবাসরত বাঙালি কমিউনিটির সদস্যরা বলেন, ‘জাতির পিতার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ অবধারিত ছিল, বিকল্প ছিল না। তারা বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা স্বার্থের কথা চিন্তা না করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাত থেকে মাতৃভূমিকে মুক্ত করতে যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে সেভাবে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’

অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদ- এর স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর দিবসটি উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণীসমূহ দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ পাঠ করেন। এছাড়া, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্মিত একটি তথ্যচিত্র দেখানো হয়।  

দিনের শুরুতে রাষ্ট্রদূত মাহবুব হাসান সালেহ্ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দূতাবাস প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

অনুষ্ঠানের শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদের আত্মার শান্তি কামনা করে প্রার্থনা করা হয় ও দূতাবাস প্রাঙ্গণে একত্রে ইফতার-নৈশভোজ গ্রহণের মধ্য দিয়ে দিনের অনুষ্ঠান সমাপ্তি হয়।