ডেনমার্কে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন
ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযোগ্য মর্যাদা ও আনন্দ উদ্দীপনার সঙ্গে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে। সকালে ডেনমার্কে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত এ. কে. এম. শহীদুল করিম জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন।
দূতাবাস মিলনায়তনে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দের উপস্থিতিতে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ করা হয় এবং বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
এই দিবস উপলক্ষে সন্ধ্যায় বাংলাদেশ দূতাবাস স্থানীয় হুয়ন ইভেন্ট সেন্টারে একটি অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আগত অতিথিদের মধ্যে ডেনমার্কস্থ প্রবাসী বাংলাদেশী, রাজনীতিক ব্যক্তিত্ব, বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানোর মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। এরপর বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন:
২৪ দিনে রেমিট্যান্স এল ১৪৯ কোটি ডলার
রাষ্ট্রদূত তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং তার নের্তৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে যে সকল লাখো শহিদ দেশের জন্য অকাতরে জীবন বিলিয়ে দিয়েছিলেন তাদের আত্নত্যাগের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
তিনি বলেন, জাতির পিতা তার দীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে আমাদের দিয়ে গেছেন রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক মুক্তি। তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বর্তমান সরকার একটি জ্ঞান নির্ভর ও ডিজিটাল মধ্যম আয়ের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ফলশ্রুতিতে, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ছাড়াও দারিদ্র বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু মৃত্যুহার হ্রাস, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সমস্যা মোকাবিলাসহ নানা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আজ বিশ্বদরবারে রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশীগণ বাংলাদেশের এই উন্নয়ন অগ্রযাত্রার অন্যতম অংশীদার। প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশীগণ বিভিন্ন ইতিবাচক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিদেশে বাংলাদেশের সুনাম বৃদ্ধি করছে।
পরিশেষে তিনি প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি উন্নত, সমৃদ্ধিশালী ও কল্যাণকর রাষ্ট্রগঠনে সবাইকে একযোগে কাজ করতে এবং বিদেশের মাটিতে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল রাখতে উদাত্ত আহবান জানান। পরিশেষে ইফতার পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্ত হয়।
