অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত

প্রবাস ডেস্ক
২৬ মার্চ ২০২৪, ০৯:৫৭
শেয়ার :
অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত

বাংলাদেশ হাইকমিশন, অটোয়া গতকাল সোমবার ২৫ মার্চ যথাযোগ্য মর্যাদায় গণহত্যা দিবস-২০২৪ পালন করেছে। কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে দিবসটি উপলক্ষে হাইকমিশনের অডিটোরিয়ামে বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এ সময় হাইকমিশনের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভার শুরুতেই ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর হাইকমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণীগুলো পাঠ করে শোনান এবং দিবসটি উপলক্ষে নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। 

হাইকমিশনার তার বক্তব্যে বলেন, ‌‘পৃথিবীর ইতিহাসে যতগুলো গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে, তার মধ্যে ১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যা অন্যতম নৃশংস। ১৯৭১-এর ২৫ মার্চ অপারেশন সার্চলাইট-এর নামে বাঙালি নিধনের পূর্বপরিকল্পিত নীলনকশা বাস্তবায়িত হয়েছিল। দীর্ঘ ৯ মাসের যুদ্ধে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা তাদের এ দেশীয় দোসরদের সহযোগিতায় ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করেছিল এবং ২ লাখের অধিক মা-বোনের সম্ভ্রম কেড়ে নিয়েছিল।’

হাইকমিশনার দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত করার মধ্য দিয়েই একাত্তরের গণহত্যায় আত্মোৎসর্গকারী প্রতিটি প্রাণের প্রতি চিরন্তন শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপনের আহ্বান জানান। এ সময় হাইকমিশনার কানাডায় ১৯৭১ সালের গণহত্যার স্বীকৃতির জন্য হাইকমিশনের অব্যাহত প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন।

তিনি উল্লেখ করেন, হাইকমিশন ও বঙ্গবন্ধু সেন্টার ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ ইন কানাডা (বিসিবিএস)-এর যৌথ উদ্যোগের ফলে কানাডার ম্যানিটোবা প্রদেশের উইনিপেগ-এ অবস্থিত কানাডিয়ান মিউজিয়াম ফর হিউম্যান রাইটস (সিএমএইচআর) তাদের Breaking the Silence Gallery-তে ১৯৭১-এর গণহত্যার তথ্যচিত্র এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতির স্থায়ী প্রদর্শন করতে সম্মত হয়েছে। 

আগামী সেপ্টেম্বর/অক্টোবর ২০২৪-এ স্থায়ী প্রদর্শনীর (‘Permanent Display of the Exhibits of the Genocide’) আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন হাইকমিশনার। 

অন্যদের মধ্যে হাইকমিশনের মিনিস্টার দেওয়ান হোসনে আইয়ুব ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংগঠিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির গুরুত্ব তুলে ধরেন। এর পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে আলোচনা অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।