ব্যাংককে বাংলাদেশ দূতাবাসে ‘গণহত্যা দিবস’ পালন
ব্যাংককে বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় গণহত্যা দিবস-২০২৪ পালন করা হয়েছে। আজ সোমবার অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ ভয়াল কালো রাতে শাহাদতবরণকারী শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন যথাক্রমে দূতাবাসের মিনিস্টার (রাজনৈতিক) ও মিশন উপ-প্রধান মিজ মালেকা পারভীন, এনডিসি এবং মিনিস্টার (কনস্যুলার) হাসনাত আহমেদ।
এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের অন্যান্য শহীদ সদস্য, ২৫ মার্চ ভয়াল কালো রাতে শাহাদতবরণকারী সকল শহীদ, ভাষা শহীদ ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার শান্তি কামনা এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে নিজ নিজ ধর্মমতে দোয়া ও প্রার্থনা করা হয়।
অনুষ্ঠানে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে দিবসটির ওপর নির্মিত একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন:
২৪ দিনে রেমিট্যান্স এল ১৪৯ কোটি ডলার
আলোচনা পর্বে দূতাবাসের কাউন্সেলর (ইকনোমিক) সারোয়ার আহমেদ সালেহীন দেন। তিনি তার বক্তব্যে গণহত্যার প্রেক্ষাপট, পাকিস্তান হানাদার বাহিনী কর্তৃক সংঘটিত ‘অপরাশেন সার্চলাইট, কালরাতে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক স্বাধীনতার ঘোষণা, গণহত্যা সংঘটিত করেও পাকিস্তান সরকার কর্তৃক অদ্যাবধি বাংলাদেশের কাছে আনুষ্ঠানিক ক্ষমা না চাওয়াসহ গণহত্যার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
রাষ্ট্রদূত মো. আব্দুল হাই তার বক্তব্যের শুরুতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ২৫ মার্চ ভয়াল কালো রাতে শাহাদতবরণকারী সকল শহীদ ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন এবং তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। মান্যবর রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে গণহত্যা দিবসের পটভূমি, পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর নির্মম হত্যাকাণ্ড, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সংঘটিত গণহত্যার ইতিহাস ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরেন।
২৫ মার্চের গণহত্যাকে বাঙালি ইতিহাসের ক্ষত হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ স্মৃতি সাথে নিয়েই আমাদের সামনে অগ্রসর হতে হবে।’
গণহত্যার সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে আহ্বান জানান।
এছাড়াও, বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত গণহত্যার ওপর গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে মর্মে তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দূতাবাসের কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান মো. মাসূমুর রহমান।