নিউইয়র্কে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও শিশু দিবস উদযাপন

কূটনৈতিক প্রতিবেদক
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৯:০০
শেয়ার :
নিউইয়র্কে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও শিশু দিবস উদযাপন

নিউইয়র্কে ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ধরে, আনব হাসি সবার ঘরে’- প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে যথাযোগ্য মর্যাদায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ উদযাপন করেছে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল। গতকাল সোমবার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইয়্যেদুল হক সুমন। এছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্বসহ বাংলাদেশ কমিউনিটির গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং নতুন প্রজন্মের শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত হয়ে উঠৈ। 

অনুষ্ঠানের শুরুতে কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হুদার নেতৃত্বে কনস্যুলেটের কর্মকর্তা ও আমন্ত্রিত অতিথিরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। বঙ্গবন্ধুসহ ১৯৭১ ও ১৯৭৫ এর সকল শহিদদের আত্মার মাগফিরাত ও দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। 

প্রধান অতিথি ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইয়্যেদুল হক সুমন বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় শিশুদের জন্য পরিচ্ছন্ন বাসযোগ্য বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে ময়লা আবর্জনা দূর করে পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখার প্রত্যয়ে তিনি আত্মনিয়োগ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কোনো বিকল্প নেই। তাই দেশপ্রেমে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানাই।’

কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হুদা দিবসটির বিশেষ তাৎপর্যের কথা তুলে ধরে বাংলাদেশের স্বাধীনতাসহ সকল আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসাধারণ নেতৃত্ব ও অবদানের কথা সশ্রদ্ধচিত্ত্বে স্মরণ করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের প্রতিটি সন্ধিক্ষণে বঙ্গবন্ধু যে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেন সে কারণে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সমার্থক বলে তিনি মন্তব্য করেন। শিশুকাল থেকেই বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে যে দৃঢ়তা, দেশপ্রেম, মানবিকতা এবং নেতৃত্বের গুণাবলী প্রতিফলিত হয়েছিল তা আজকের সব শিশুর জন্য অনুপ্রেরণার উৎস বলে তিনি যোগ করেন।

জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে কনসাল জেনারেল শিশুদের নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিত করে তাদের শারিরীক, মানসিক ও নৈতিক উৎকর্ষ অর্জনের জন্য সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টিতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধারা, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের সভাপতি, সহ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য অঙ্গসংগঠন ও বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা এবং কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বক্তব্য দেন। দিবসটি উপলক্ষে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে একটি চিত্রাঙ্কন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পবিত্র রমজান উপলক্ষে ইফতারি ও নৈশভোজ পরিবেশনের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।