অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উদযাপন

প্রবাস ডেস্ক
১৮ মার্চ ২০২৪, ১০:৫০
শেয়ার :
অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উদযাপন

ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে জাতির পিতা ও স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয়েছে। 

অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে গতকাল রবিবার সকাল ১০টায় বাংলাদেশ হাউজে জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান। এ সময় হাইকমিশনের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। এরপর বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্টে ১৯৭৫-এর সব শহীদ এবং মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।  

দিবসের পরবর্তী কর্মসূচি বাংলাদেশ হাইকমিশনের মিলনায়তনে বিকেল ৩টায় শুরু হয়। ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ধরে, আনব হাসি সবার ঘরে’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান। 

শুরুতেই বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে হাইকমিশনারের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর হাইকমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণীগুলো পাঠ করে শোনান। এরপর ঢাকা থেকে প্রেরিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

তিনজন শিশুর বক্তব্যের মাধ্যমে দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত মূল আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। তারা তাদের বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর ন্যায় পৃথিবীর সব মানুষকে ভালোবাসার কথা বলে এবং তার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ভবিষ্যতে মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকবে বলে অঙ্গীকার করে। 

আলোচনায় অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশি-কানাডিয়ান কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন প্রতিটি বাঙালির জন্য অনুকরণীয় ও গর্বের বিষয়।’ শিশুদের প্রতি জাতির পিতার অগাধ ও অকৃত্রিম ভালোবাসা ছিল বলে তারা তাদের বক্তব্যে উল্লেখ করেন। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা এবং জাতীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানাদির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনের ইতিহাস পরবর্তী প্রজন্মকে জানানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন বক্তারা।

সভাপতির বক্তব্যের শুরুতেই হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না, তাই আমাদের জাতীয় জীবনে এই দিনটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ। বঙ্গবন্ধুর জীবনের নানা ঘটনা থেকে আমরা শিশুদের প্রতি তার অগাধ ও অকৃত্রিম ভালোবাসার প্রমাণ পাই।’

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশকে শিশুদের জন্য নিরাপদ আবাসভূমিতে পরিণত করার শপথ নিতেই বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে জাতীয় শিশু দিবস পালন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি শিক্ষা, সংস্কৃতি চর্চা ও খেলাধুলার মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় দেশ গড়তে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করেন। দেশ ও মানুষকে ভালোবাসার মানসিকতা বিকাশের মাধ্যমে শিশুরা যাতে নিজেদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারে, সেজন্য কাজ করতে উপস্থিত সবাইকে আহ্বান জানান।’

হাইকমিশনার শিশুদের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী রেখে যেতে এবং শিশুদের প্রতি মানবিক আচরণ করতে সকলকে অনুরোধ জানান।

ইতিপূর্বে দিবসটি উপলক্ষে কানাডায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি শিশুরা ০২ (দুই) ক্যাটাগরিতে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। ৫-১২ বছর বয়সী শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার বিষয় ছিল ‘বঙ্গবন্ধু ও সোনার বাংলা’ এবং ১০-১৬ বছর বয়সী শিশুদের রচনা প্রতিযোগিতার বিষয় ছিল ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। 

হাইকমিশনার চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন। উপস্থিত সব শিশুকে বিশেষ উপহার দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যা শিশুসহ উপস্থিত সবেইকে নিয়ে হাইকমিশনার কেক কাটেন।