নয়াদিল্লিতে বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
১৭ মার্চ ২০২৪, ২২:০৫
শেয়ার :
নয়াদিল্লিতে বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন

নয়াদিল্লিস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশনে যথাযথ মর্যাদায় ও আনন্দমুখর পরিবেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয়েছে।

আজ রবিবার ভারতে বাংলাদেশের হাই কমিশন প্রাঙ্গণে সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচির সূচনা করেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে হাই কমিশনে এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময় দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণীসমূহ পাঠ করা হয়।

হাই কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একসূত্রে গাঁথা। শত বছরের শোষণ, নিপীড়ন, বঞ্চনা ও পরাধীনতার শিকল ভেঙ্গে তিনি পথহারা বাঙালি জাতিকে মুক্তির পথ দেখিয়েছিলেন।

বঙ্গবন্ধুর চারিত্রিক ও মানবিক গুণগুলো শিশুদের মধ্যে প্রোথিত করে সুন্দর আগামী প্রজন্ম গড়ে তোলার আহ্বান জানান হাই কমিশনার। একইসঙ্গে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে সকলকে তাদের প্রয়াস অব্যাহত রাখতে বলেন তিনি।

আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন হাই কমিশনের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. হাফিজুর রহমান।

সন্ধ্যায় হাই কমিশনের বঙ্গবন্ধু হলে শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে শিশু-কিশোরদের উপস্থিতিতে বিশেষ কেক কাটার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ এবং বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা কবিতা, প্রবন্ধ ও গানের মধ্য দিয়ে জাতির পিতাকে স্মরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর উপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়।

দিবসটি উপলক্ষে হাই কমিশনের পক্ষ থেকে শিশু-কিশোরদের জন্য রচনা, কবিতা আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন, কুইজ ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। হাই কমিশনার সন্ধ্যায় প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।  

সবশেষে বঙ্গবন্ধু এবং বাঙালির স্বাধীনতা ও স্বাধিকার আন্দোলনের সকল পর্যায়ে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনকারী শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। 

বাংলাদেশ হাই কমিশনের কর্মকর্তা, কর্মচারীগণ ও প্রবাসী বাংলাদেশিসহ শিশু-কিশোররা এসকল অনুষ্ঠানে যোগ দেন।