যৌন হয়রানির অভিযোগে যা বললেন সেই সহকারী প্রক্টর

অনলানই ডেস্ক
১৬ মার্চ ২০২৪, ০২:২৮
শেয়ার :
যৌন হয়রানির অভিযোগে যা বললেন সেই সহকারী প্রক্টর

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি এবং মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে আত্মহত্যা করেছেন ছাত্রী ফাইরুজ অবন্তিকা। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে পদ থেকে অব্যাহতি এবং অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দিকীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ।

তবে ওই সহকারী প্রক্টর গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এখানে ষড়যন্ত্র করে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ঘটনাটি দুই থেকে দেড় বছর আগের, তখন অবন্তিকার বিরুদ্ধে তার সহপাঠীরা ফেসবুকে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে বিভিন্ন পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে থানায় জিডি করেছিল। ওই অভিযোগ তদন্তে আমাদের এখানে একটি কমিটি করা হয়েছিল। তার সঙ্গে কখনোই আমি একা কিছু করিনি।

এদিকে ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার খবর ছড়িয়ে পড়লে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দীকির বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগ তুলেন। পরে দোষী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর শাস্তির দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।

’শিক্ষক ও সহপাঠীকে দায়ী করে ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাস। তার মৃত্যুর ঘটনায় দায়ীদের শাস্তির দাবিতে ক্যাম্পাস এলাকায় টায়ারে আগুন নিয়ে বিক্ষোভ করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে শান্ত করার চেষ্টা করলেও সম্ভব হয়নি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন।

মৃত ছাত্রী ফাইরুজ অবন্তিকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত ১০ টার দিকে প্রথমে ফেসবুকে পোস্ট দেন ফাইরুজ। এরপর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, তিনি মারা গেছেন।