আইডিয়ালের মুশতাক-ফাওজিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা তদন্তে পিবিআই

আদালত প্রতিবেদক
১৪ মার্চ ২০২৪, ১২:৩২
শেয়ার :
আইডিয়ালের মুশতাক-ফাওজিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা তদন্তে পিবিআই

নারাজি মঞ্জুর করে রাজধানীর মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলার তদন্তের দায়িত্ব পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার ৮ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শওকত আলী এ আদেশ দেন।

মামলায় বাদী গত ৩ মার্চ বাদী নারাজি দাখিল করেন। সেদিন শুনানি শেষে আজ ১৪ মার্চ আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন আদালত।

গত ৩০ অক্টোবর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই সোহেল রানা অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন। 

গত ১ আগস্ট আদালতে এ মামলা করেন ভুক্তভোগী। মামলায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর মুশতাক আহমেদ ট্রাইব্যুনালে হাজির হলে আদালত জামিন মঞ্জুর করেন। মামলায় মুশতাকের সঙ্গে আসামি করা হয়েছে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভিকটিম রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়ালের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। আসামি মুশতাক বিভিন্ন অজুহাতে কলেজে আসতো এবং ভিকটিমকে ক্লাস থেকে প্রিন্সিপালের কক্ষে ডেকে আনতো। খোঁজ-খবর নেওয়ার নামে আসামি ভিকটিমকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে প্রলুব্ধ করতো। কিছুদিন পর আসামি মুশতাক ভিকটিমকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হওয়ায় ভিকটিমকে তুলে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে এবং তাকে ও তার পরিবারকে ঢাকা ছাড়া করবে বলে হুমকি দেয়।

আরও জানা যায়, ভিকটিম এ রকম আচরণের বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন। এরপর অধ্যক্ষ ব্যবস্থা করতেছি বলে আসামি মুশতাককে তার রুমে নিয়ে আসেন এবং ভিকটিমকেও ক্লাস থেকে নিয়ে এসে রুমের দরজা বন্ধ করে দিয়ে আসামিকে সময় ও সঙ্গ দিতে বলেন। 

এ বিষয়ে বাদী অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদী কাছে প্রতিকার চাইতে গেলেও কোনো সহযোগিতা করেননি। বরং আসামি মুশতাককে অনৈতিক সাহায্য করে আসতে থাকেন। বাদী উপায় না পেয়ে গত ১২ জুন ভিকটিমকে ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়িতে নিয়ে গেলে আসামি মুশতাক তার লোকজন দিয়ে ভিকটিমকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।এরপর বাদী জানতে পারেন আসামি ভিকটিমকে একেক দিন একেক স্থানে রেখে অনৈতিক কাজে বাধ্য করেছে এবং যৌন নিপীড়ন করছে বলে অভিযোগ করেন।