অর্থ আত্মসাৎ /
বাবুল চিশতীসহ ৫ জনের বিচার শুরু
ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) অর্থ আত্মসাতের মামলায় ব্যাংকটির নিরীক্ষা (অডিট) কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকার ৮ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বদরুল আলম ভূঞা আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জগঠন করে ২৪ মার্চ সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ঠিক করেছেন।
বিচার শুরু হওয়া অপর আসামিরা হলেন মেসার্স রিমি এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. মোস্তফা কামাল, দি ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও চৌধুরী মোস্তাক আহমেদ, পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডের হেড ব্যাংকিং অপারেশন ডিভিশন (অবসরপ্রাপ্ত) প্রকাশ চন্দ্র মোদক এবং পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডের জেনারেল সার্ভিস ডিভিশনের এভিপি ও প্রধান মো. মনিরুল হক।
আরও পড়ুন:
ভারত সফরে গেলেন প্রধান বিচারপতি
আসামিদের মধ্যে বাবুল চিশতী কারাগারে আছেন। শুনানিকালে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। অপর চার আসামি জামিনে থেকে হাজিরা দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী ফজলুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলায় বলা হয়, ২০১৩ ও ২০১৪ সালে চাঁদপুরের কচুয়া শাখা, জামালপুরের বকশীগঞ্জ শাখা, শেরপুরের শ্রীবরদী শাখা ও শেরপুর শাখা চারটি উদ্বোধন করা হয়। আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার ও কোনো রকম প্রাক্কল এবং প্রাক্কলিত মূল্য নিরূপণ না করে প্রচলিত বাজার দরের চেয়ে অধিক মূল্যে এই চার শাখার ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন ওয়ার্কের জন্য সাজানো দরপত্র প্রকাশ ও কার্যাদেশ দেখিয়ে ৭০ লাখ ৬১ হাজার ৮২৩ টাকা আত্মসাৎ করে।
এ ঘটনায় দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ ২০২০ সালের ১১ মার্চ মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ জাফর সাদেক শিবলী মামলাটি তদন্ত করে পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে ২০২৩ সালের ২৯ মে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।