পর্তুগালের বাংলাদেশ দূতাবাসে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবস পালিত
পর্তুগালে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযথ মর্যাদায় উদযাপিত হয়েছে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবস। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে পর্তুগালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদের নেতৃত্বে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং পরে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদ।
দিবসটি উপলক্ষে দূতাবাসের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা অংশগ্রহণে এক মুক্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে আলোচকরা বাঙালি জাতির ইতিহাসে ঐতিহাসিক এই ভাষণের তাৎপর্য তুলে ধরেন। সমাপনী বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদ জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন, ‘ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ’ বাংলাদেশি জাতির জন্য একটি গর্বের দিন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ তৎকালীন পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠী থেকে স্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের সংগ্রামে সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। লাখ-লাখ মানুষের সামনে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ভাষণটি বাংলাদেশ ও তার জনগণের ভাগ্য নির্ধারণ করেছিল সেদিন। ৭ই মার্চের ভাষণ বিশ্বের ইতিহাসে প্রদত্ত অন্যতম সেরা ভাষণ।’
আরও পড়ুন:
২৪ দিনে রেমিট্যান্স এল ১৪৯ কোটি ডলার
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্বের ক্যারিশমা এবং ৭ই মার্চের ভাষণে জনগণের অভূতপূর্ব সাড়া বিশ্বের ইতিহাসে বিরল যার ফলে ইউনেস্কো মানবজাতির প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে ‘মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টার’-এ উক্ত ভাষণকে অন্তর্ভুক্ত করে বলে তিনি উল্লেখ করেন। সেইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার লক্ষে সকলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
আলোচনা শেষে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারবর্গ, মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশের প্রত্যাশায় বিশেষ দোয়া করা হয়।