বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের জন্য এই ভাষণ প্রেরণার
যথাযথ মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে নয়াদিল্লীস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালন করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার দিবসটি উপলক্ষে হাই কমিশনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান দূতাবাস প্রাঙ্গনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচির সূচনা করেন।
দিবসটি উপলক্ষে হাই কমিশনের বঙ্গবন্ধু হলে বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ করা হয়। এসময় বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন:
২৪ দিনে রেমিট্যান্স এল ১৪৯ কোটি ডলার
হাই কমিশনার রহমান দিবসটি উপলক্ষে তার বক্তব্যে বলেন, ‘জাতির পিতার দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে উচ্চারিত এই ভাষণের শব্দমালাকে প্রতিটি বাঙালি তার অন্তরে ধারণ করে উদ্বুদ্ধ হয়েই ছিনিয়ে আনে স্বাধীনতা। বিশ্বের মুক্তিকামী, নিপীড়িত ও বঞ্চিত প্রতিটি মানুষের জন্য এটি প্রেরণার চিরন্তন উৎস হয়ে থাকবে।’
তিনি এ ভাষণটির তাৎপর্য ও মাহাত্ম্যকে হৃদয়ে ধারণ করে এবং দেশপ্রেমের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকলকে দেশের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করার জন্য আহ্বান জানান।
পরিশেষে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের শহিদ সদস্যবৃন্দ এবং বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের সকল পর্যায়ে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনকারী সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
বাংলাদেশ হাই কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ, প্রবাসী বাংলাদেশি এবং স্বাগতিক দেশের আমন্ত্রিত অতিথিরা এসকল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।