পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ১৫ বছর /
বিস্ফোরক আইনের মামলা এখনো বিচারাধীন
পিলখানায় বিডিআর সদরদপ্তরে (বর্তমান বিজিবি) বিদ্রোহে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন হত্যার ১৫ বছর আজ রবিবার। ২০০৯ সালে ২৪ থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ হত্যাকাণ্ডের হত্যা মামলায় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর নিম্ন আদালতের রায় এবং ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স ও আপিল নিষ্পত্তি হলেও একই ঘটনার বিস্ফোরক আইনের মামলা এখনো বিচারাধীন।
রাজধানীর বকশিবাজারস্থ সরকারি আলীয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন মাঠে স্থাপিত ঢাকা মহানগর দায়রা জজের অস্থায়ী এজলাসে প্রায় ১৩শ জন সাক্ষী থাকা এ মামলায় সবেমাত্র ২৭২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করতে পেরেছেন আদালত।
৮৩৪ জন আসামির এ মামলায় ১৫ থেকে ১ মাস পরপর মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করছেন আদালত। ফলে কবে নাগাদ এ মামলার বিচার সম্পন্ন হবে তা কেউ বলতে পারছেন না।
আরও পড়ুন:
ভারত সফরে গেলেন প্রধান বিচারপতি
এ মামলার বিচার সম্পর্কে প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল জানান, একই ঘটনার হত্যার মামলার বিচার নিম্ন আদালতের পর হাইকোর্টে পর্যন্ত নিষ্পত্তি হয়েছে। হত্যা মামলার অধিকাংশ আসামি বিস্ফোরক আইনের মামলারও আসামি। ওই আসামিদের অনেকেই হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়ে আছে। তাই আসামিদের নিরাপত্তার বিষয়ও এখানে জড়িত। তাই হত্যা মামলার ন্যায় বিস্ফোরক আইনের মামলার দ্রুত বিচার করা সম্ভব হচ্ছে না।
এ সম্পর্কে আসামি পক্ষের আইনজীবী ফারুক আহমেদ বলেন, রাষ্ট্রপক্ষই হত্যা মামলায় রায় পাওয়ার পর বিস্ফোরক আইনের মামলার বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির করার চেষ্টা করছে না। হত্যা মামলার খালাসপ্রাপ্ত অনেক আসামি বিস্ফোরক মামলারও আসামি। হত্যা মামলায় খালাস পেয়েও বিস্ফোরক আইনের মামলার কারণে তারা মুক্তি পাননি। তাই উচিত হবে যারা হত্যা মামলায় খালাস পেয়েছেন তাদের জামিন দেয়া, না হয় বিস্ফোরক আইনের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করা।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ১২ জুলাই হত্যা মামলায় এবং ২৭ জুলাই বিস্ফোরক আইনের মামলায় চার্জশিট দাখিল করে সিআইডি। ২০১১ সালের ১০ আগস্ট হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হলেও বিস্ফোরক আইনের মামলার বিচার স্থগিত ছিল।
হত্যা মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের শেষ পর্যায়ে ২০১৩ সালের ১৩ মে বিস্ফোরক আইনের মামলায় চার্জগঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়। হত্যা মামলায় ৪ বছর ৮ মাসে ২৩২টি কার্যদিবস পর ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর রায় ঘোষণা হয়। কিন্তু বিস্ফোরক আইনের মামলায় গত ১৫ বছরে প্রায় দুই শতাধিক ধার্য তারিখ সাক্ষীর জন্য অতিবাহিত হয়েছে।