ডেনমার্কে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

প্রবাস ডেস্ক
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৪৫
শেয়ার :
ডেনমার্কে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ উদ্দীপনায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। একুশে ফেব্রুয়ারি সকালে ডেনমার্কে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত এ. কে. এম. শহীদুল করিম জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচীর উদ্ভোধন করেন। এরপরে দূতাবাস মিলনায়তনে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দের উপস্থিতিতে দিবসটি উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী কর্তৃক বাণীসমূহ পাঠ করা হয়। 

 সন্ধ্যায় দূতাবাস মিলনায়তনে একটি বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ডেনমার্কস্থ প্রবাসী বাংলাদেশি, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন। 

আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতে ভাষা আন্দোলনসহ বিভিন্ন স্বাধীকার আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। পরে পবিত্র কোরআন তেলওয়াত এবং ভাষা আন্দোলনের উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। প্রবাসী বাংলাদেশিরা আলোচনা অনুষ্ঠানে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। বক্তাগণ তাদের আলোচনায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের বিভিন্ন দিক ও তাৎপর্য তুলে ধরেন।  

সমাপনী বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত শুরুতে ভাষাশহীদদের আত্নত্যাগ ও কারাগার থেকে ভাষা আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। 

তিনি উল্লেখ করেন, ভাষা আন্দোলনের অন্যতম গৌরবময় অবদান বৈশ্বিক পরিসরে এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা, যা বাংলাভাষী মানুষের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়।

দিবসটির তাৎপর্যের উপর আলোকপাত করে তিনি আরও বলেন, একুশের চেতনাই বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্তম্ভ রচনা করে দিয়েছিল। তিনি মন্তব্য করেন, একটি জাতির কৃষ্টি-কালচার তার মায়ের ভাষার মাঝে প্রোথিত থাকে এবং কোন জাতির সমৃদ্ধি ও প্রগতি তার ভাষার সঠিক মূল্যায়নের উপর অনেকাংশে নির্ভর করে। একুশের চেতনাকে সমুন্নত রাখার জন্য সর্বস্তরে নির্ভূল বাংলা ভাষার ব্যবহার এর উপর তিনি গুরুত্ব প্রদান করেন। 



পরিশেষে, তিনি প্রবাসে বেড়ে ওঠা বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের মাঝে বাংলা ভাষার সঠিক ব্যবহার ও প্রসারের মাধ্যমে বাংলাদেশের সমৃদ্ধ কৃষ্টি ও সংস্কৃতির সেতুবন্ধন রচনা করতে প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রতি আহ্বান জানান। দূতাবাসের আয়োজনে বাংলাদেশি খাবারের পরিবেশনায় সান্ধ্যভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত হয়।