জিআই পণ্যের তালিকা চাইলেন হাইকোর্ট

অনলাইন ডেস্ক
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:০২
শেয়ার :
জিআই পণ্যের তালিকা চাইলেন হাইকোর্ট

বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের শাড়ি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) হিসেবে নিবন্ধিত হওয়ার ঘটনার পর এবার বাংলাদেশের জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন (জিআই) বা ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের তালিকা করতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে আগামী ১৯ মার্চের মধ্যে এ তালিকা প্রতিবেদন আকারে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আজ সোমবার এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকার ও সরদার মোহাম্মদ রাশেদ জাহাঙ্গীর দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

একইসঙ্গে জিআই পণ্যের তালিকা তৈরি ও সংরক্ষণের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ নয়, জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন উচ্চ আদালত।

রিটকারী আইনজীবী সারওয়াত সিরাজ শুক্লা বলেন, ‘টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি ও সুন্দবনের মধুসহ যেসব বাংলাদেশি জিআই পণ্য ভারত নিবন্ধন করেছে, তার বিরুদ্ধে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত আপিলের সুযোগ আছে।’

২০১৬ সালে জামদানি শাড়িকে বাংলাদেশে প্রথম জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এরপর স্বীকৃতি পায় আরও ২০টি পণ্য। মোটকথা গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের মোট ২১টি পণ্য জিআই হিসেবে নিবন্ধিত হলেও মোট ১৪টি পণ্যের জন্য নতুন করে আবেদন করা হয়েছে। এছাড়া, আবেদনের প্রক্রিয়ার মাঝে আছে আরও দু’টি পণ্য।

কোনো পণ্যের জন্য আবেদন করার অর্থ এই নয় যে সেগুলো জিআই সনদ পাওয়ার জন্য যোগ্য বা পাবেই। নানারকম পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নির্ধারিত হয় পণ্যটি এই তালিকায় উঠবে কিনা। যাচাই-বাছাইয়ের পর এগুলোর কোনওটি যদি জিআই সনদ পেয়ে যায়, তখনই সেগুলো বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য হিসেবে বিশ্ব দরবারে পরিচিতি লাভ করবে।

গত ১২ ফেব্রুয়ারি নতুন ৪টি জিআই পণ্যের জার্নাল প্রকাশিত হওয়ায় মোট অনুমোদিত জিআই পণ্যের সংখ্যা এখন ২৮টি।