জাবিতে ধর্ষণকাণ্ডে জরুরি সিন্ডিকেট সভা, যে সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন

জাবি প্রতিনিধি
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৫৫
শেয়ার :
জাবিতে ধর্ষণকাণ্ডে জরুরি সিন্ডিকেট সভা, যে সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) স্বামীকে আবাসিক হলে আটকে রেখে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় জরুরি সিন্ডিকেট সভা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে ছয় শিক্ষার্থীর সনদ স্থগিত করা হয়েছে।

আজ রবিবার বিকেল ৩টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলমের সভাপতিত্বে এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্র মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে আজ বিকেল থেকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে এবং তার সনদ স্থগিত করা হয়েছে। 

তাকে সহযোগিতাকারী একই বিভাগের ছাত্র মো. মুরাদ হোসেনকে সাময়িক বহিষ্কার ও সনদ স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। অভিযুক্তকে পালাতে সহায়তা করার নির্দেশদাতা একই বিভাগের ছাত্র শাহ পরানের সনদ স্থগিত করা হয়েছে।

পালাতে সহায়তা করায় উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের মো. সাব্বির হাসান সাগর, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের এ এস এম মোস্তফা মনোয়ার সিদ্দিকী ও মো. হাসানুজ্জামানকে সাময়িক বহিষ্কার ও তাদের সনদ স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের তিনজনকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

ধর্ষণ ও সহযোগিতায় অভিযুক্ত বহিরাগত মামুনসহ অভিযুক্ত সবার বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাবি প্রশাসন। এছাড়া অধ্যাপক ড. অজিত কুমার মজুমদারকে সভাপতি করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ছায়েদুর রহমান, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আফসানা হক, সদস্য সচিব আইন কর্মকর্তা মাহতাব—উজ—জাহিদ। কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য অধ্যাপক নুরুল আলম বলেন, ‘অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের সনদ স্থগিতের পাশাপাশি তাদের ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত করা হয়েছে। ক্যাম্পাস বহিরাগতদের প্রবেশ ও অস্থায়ী দোকানপাট নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অছাত্রদের আবাসিক হল থেকে বের হওয়ার নির্দেশনা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হবে। তারা বের না হলে বিধি অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গঠিত কমিটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করবে।’

প্রসঙ্গত, গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ আবাসিক হলের ৩১৭ নম্বর কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে কৌশলে বোটানিক্যাল গার্ডেনের পেছনে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন আসামি মোস্তাফিজুর রহমান ও মামুনুর রশীদ মামুন।