দুর্ধর্ষ অপরাধী ও জঙ্গি ছাড়া কাউকে ডান্ডাবেড়ি পরানো যাবে না: হাইকোর্ট
দুর্ধর্ষ অপরাধী ও জঙ্গি ছাড়া আর কোনো বন্দীকে ডান্ডাবেড়ি পরানো যাবে না বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদেশে হাইকোর্ট জেল কর্তৃপক্ষকে ২০২২ সালের ২১ নভেম্বর কারা অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিটি কঠোরভাবে অনুসরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। ওই বিজ্ঞপ্তিতে কুখ্যাত অপরাধী এবং জঙ্গিসহ বিশেষ প্রকৃতির বন্দীদের আদালতে হাজির করার সময় বা স্থানান্তরের সময় নিরাপত্তাজনিত কারণে ডান্ডাবেড়ি পরানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পটুয়াখালীর ছাত্রদল নেতা মো. নাজমুল হোসেন তার বাবার জানাজায় অংশ নেওয়ার সময় ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় ছিলেন। এ বিষয়ে এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নাজমুল হোসেনকে জানাজার সময় ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে রাখাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন:
ভারত সফরে গেলেন প্রধান বিচারপতি
শুনানিতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সেলিম আজাদ।
উল্লেখ্য, বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় গত বছরের ২০ ডিসেম্বর পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ১৩ জানুয়ারি দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বাবার জানাজায় অংশ নেওয়ার জন্য প্যারোলে তাকে কারাগার থেকে মুক্তির নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্ট আদালত।
আগের দিন ১২ জানুয়ারি বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাজমুলের বাবা মো. মোতালেব হোসেন মৃধা মারা যান। পরে জানাজার দিন ৩টার দিকে মির্জাগঞ্জের সুবিদ আলী গ্রামে জানাজা চলাকালে পুলিশ নাজমুলের হাতকড়া খুলে দিলেও ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে রাখে পুলিশ।