মির্জা আব্বাসের মামলা রায় থেকে ফের যুক্তিতর্ক
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলা রায় থেকে উত্তোলন করে ফের যুক্তিতর্ক শুনানিতে নিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ মঞ্জুরুল ইমাম এ আদেশ দেন। ফলে আগামীকাল বুধবার এ মামলা রায় ঘোষণার পরিবর্তে যুক্তিতর্ক শুনানি হবে।
মামলাটি রায় থেকে উত্তোলন করে যুক্তিতর্কে নেওয়ার আদেশে বিচারক বলেছেন, মামলাটিতে ঘটনাগত এবং তথ্যগত বিষয়সহ জটিল আইনগত বিষয় জড়িত রয়েছে। সে বিষয়ে উভয়পক্ষের অধিকতর যুক্তিতর্ক শুনানি হওয়া আবশ্যক মর্মে আদালত মনে করেন। এজন্য মামলাটি রায় প্রচারের তালিকা হতে উত্তোলন পূর্বক অধিকতর যুক্তিতর্ক শুনানির সিদ্ধান্ত গৃহীত হলো। সংশ্লিষ্ট আদালতের উচ্চমান বেঞ্চ সহকারী জাহিদুল ইসলাম এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
একই আদালত গত ২২ নভেম্বর মামলাটির যুক্তিতর্ক শুনানি পর রায় ঘোষণার জন্য ৩০ নভেম্বর ঠিক করেন। তবে সেদিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ১২ ডিসেম্বর এবং সেদিনও তা প্রস্তুত না হওয়ায় পিছিয়ে ২৮ ডিসেম্বর রায়ের দিন ঠিক করা হয়। পরে তৃতীয় বার পিছিয়ে ২৪ জানুয়ারি রায় ঘোষণার তারিখ ঠিক করা হয়।
গত ৩১ অক্টোবর রাতে রাজধানীর শাহজাহানপুরের বাসা থেকে গ্রেপ্তার হন মির্জা আব্বাস। পরদিন ১ নভেম্বর সিএমএম আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে ৫ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
অবৈধ সম্পদের মামলায় আফরোজা আব্বাসের নামে ২০ কোটি ৭৪ লাখ ৪৭ হাজার ৮২৮ টাকার সম্পদ প্রকৃতপক্ষে তার স্বামী মির্জা আব্বাসের সহায়তায় অবৈধভাবে অর্জিত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মির্জা আব্বাস ১৯৯১ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত সংসদ সদস্য, মন্ত্রী ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ছিলেন। তিনি সংসদ সদস্য, মেয়র ও মন্ত্রী হওয়ার সুবাদে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট পর্যন্ত আফরোজা আব্বাসের নামে ওই টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। দুদকের তদন্তে অবৈধ ওই সম্পদ হস্তান্তর, রূপান্তর ও অবস্থান গোপন করতে কৌশল অবলম্বন করার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তদন্ত কর্মকর্তা আফরোজা আব্বাস ও তার স্বামী মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
২০১৯ সালের ৭ জুলাই রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় দুদকের সাবেক সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা মো. সালাহউদ্দিন মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ২০ কোটি ৭৬ লাখ ৯২ হাজার টাকার সম্পদের অভিযোগ আনা হয়েছিল।