কানাডায় বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন
কানাডায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন করেছে অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন। গতকাল বুধবার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান। পরে হাইকমিশনের কর্মকর্তারা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে পাঠানো রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনায়। বাণী পাঠের পর বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে একটি বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
কানাডায় বসবাসরত মুক্তিযোদ্ধারাসহ বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যরা বিশেষ এ আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশকে জানতে হলে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানা ও পড়ার বিকল্প নেই বলে উল্লেখ করেন বক্তারা। তারা বঙ্গবন্ধুর রচিত অসমাপ্ত আত্মজীবনীসহ অন্য দুইটি বই এবং বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা যুদ্ধের ওপর বিশিষ্ট গবেষক ও লেখকদের রচিত বিভিন্ন বই ও প্রবন্ধ পড়ার বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে হাইকমিশনার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের নিহত সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
সম্প্রতি গতবছরের ১৭ নভেম্বর কানাডার সরকারি টেলিভিশন, কানাডিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশন (সিবিসি) সাজাপ্রাপ্ত খুনি নূর চৌধুরীর এ দেশে অবস্থানের বিষয়ে প্রচারিত প্রামাণ্যচিত্রের কথা উল্লেখ করে হাইকমিশনার খুনি নুর চৌধুরীকে দেশে ফেরত নিয়ে বিচারের রায় কার্যকর করতে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
হাইকমিশনার বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ছাড়া বাংলাদেশকে কল্পনা করা যায় না। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পরে মাত্র সাড়ে তিন বছরে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশে প্রত্যাবর্তন দিবসের এই মাহেন্দ্রক্ষণে দেশি-বিদেশি সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ তথা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে সঙ্গে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে এবং নবগঠিত সরকারকে সহযোগিতা করতে সকলকে আহ্বান জানাই।’
আরও পড়ুন:
২৪ দিনে রেমিট্যান্স এল ১৪৯ কোটি ডলার
