জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন

অনলাইন ডেস্ক
১৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৪৮
শেয়ার :
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন

যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানের শুরুতে শহীদ বুদ্ধিজীবীসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী বীর শহীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। এরপর দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। 

আলোচনা পর্বে মূল বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের উপস্থায়ী প্রতিনিধি ও চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স তৌফিক ইসলাম শাতিল। উপস্থায়ী প্রতিনিধি তার বক্তব্যের শুরুতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবারের শাহাদাৎবরণকারী সব সদস্য, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বরের সব শহীদ বুদ্ধিজীবী, মহান মুক্তিযুদ্ধের সব বীর শহীদ এবং সম্ভ্রমহারা মা-বোনদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। 

দিবসটিকে আমাদের ইতিহাসের এক কলঙ্কময় অধ্যায় হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জাতির এই বীর সন্তানেরা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বুদ্ধিবৃত্তিক চেতনা দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের বিজয়ের পথ প্রশস্ত করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিনগুলোতে পাকহানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা যখন বুঝে গিয়েছিল যে তাদের পরাজয় নিশ্চিত, তখনই তারা বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে বেছে বেছে পরিকল্পিতভাবে আমাদের বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবীদের হারানোর শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে একটি জ্ঞাননির্ভর সমাজ গঠনের মাধ্যমে যদি আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সুখী-সমৃদ্ধ-উন্নত-সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে পারি, তবেই তাদের আত্মত্যাগ সার্থক হবে। অবশেষে নতুন প্রজন্মের কাছে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আদর্শকে তুলে ধরার জোরালো আহ্বান জানিয়ে উপস্থায়ী প্রতিনিধি তার বক্তব্য শেষ করেন।

আলোচনা অনুষ্ঠানে মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মিশনের দূতালয় প্রধান ফাহমিদ ফারহান।