পিয়ন বাবু হত্যা মামলায় মুন্নার আমৃত্যু কারাদণ্ড
রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের ট্রপিক্যাল সেন্টারে ফোরডি ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি লিমিটেডের পিয়ন খায়রুল ইসলাম বাবু হত্যা মামলায় রাজিবুল হক ওরফে মুন্না নামের এক যুবকের আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি মুন্না আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণা শেষে তাকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী সোহানুর রহমান সোহান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২০১১ সালের ১১ মে বাবুকে হত্যার ঘটনায় বড় বোন আমেনা বেগম নিউ মার্কেট থানায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে ডিবি পুলিশ মামলার রহস্য উদঘাটন করে।
আরও পড়ুন:
ভারত সফরে গেলেন প্রধান বিচারপতি
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, এলিফ্যান্ট রোডের ট্রপিক্যাল সেন্টারে ফোরডি ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি লিমিটেডে পিয়ন হিসেবে কাজ করতেন খায়রুল ইসলাম বাবু। একই ভবনে ব্রাউন ফিল্ডে কাজ করতেন মুন্না। ব্রাউন ফিল্ডে কক্ষ সংস্কারের কারণে সাময়িকভাবে ফোরডি ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি লিমিটেডের অফিস কক্ষে ব্রাউন ফিল্ডের কাজ চলছিল। একই ভবনে চাকরির সুবাদে তাদের পরিচয়। মুন্নার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। ২০১১ সালের ১০ মে মুন্না অফিসে আসে। বাবুকে দেখেও কথা না বলে চলে যায়। পরদিন আবার আসে। তাদের কথা হয়। এরই মাঝে অফিসের ড্রয়ার থেকে টাকা চুরির চেষ্টা করে মুন্না। তা দেখে চিৎকার করে বাবু। মুন্না ইলেকট্রিক তার পেঁচিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে। পরে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে।
মামলাটি তদন্ত করে ২০১২ সালের ১৫ নভেম্বর মুন্নাকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি (দক্ষিণ) পুলিশের পরিদর্শক নুরুল আমিন। ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল মুন্নার বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত সাত জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
