আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনে যা বললেন ফেরদৌস
অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতির মাঠেও সরব চিত্রনায়ক ফেরদৌস। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১০ ও ঢাকা-১৮ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন এই অভিনেতা।
গত ১৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রির দ্বিতীয় দিন দুই আসনের জন্য অনলাইনে মনোনয়ন ফরম কেনেন ফেরদৌস।
এ বিষয়ে চিত্রনায়ক বলেন, ‘মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে সেখানে মানুষের অনেক ভিড় দেখেছি। সেখানে আমি যাওয়া মানে আরও ভিড় বাড়ানো। আমি মানুষের সেবা করতে চাচ্ছি, সেখানে উল্টো ভোগান্তি বাড়ানোর কোনো মানে হয় না। মনে হয়েছে, আমি না গেলে কিছু মানুষের ভিড় হয়তো কমবে। অনলাইনে যেহেতু উইং খোলা হয়েছে সেজন্য সেখানে না গিয়ে অনলাইন থেকে সংগ্রহ করেছি এবং জমাও দিয়েছি।’
প্রার্থী হওয়া নিয়ে ফেরদৌস বলেন, ‘আমার মনে হয়েছে, আমি যদি ওনার (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) সঙ্গে কাজ করি, যেকোনো দেশের অগ্রগতির জন্য সাংস্কৃতির বিপ্লবের বড় একটা প্রভাব থাকে। সেই জায়গা থেকে আমার সঙ্গে যেহেতু শিল্পী ও শিল্পাঙ্গনের সবার সঙ্গে একটা আন্তরিক সম্পর্ক রয়েছে, তাই মনে হয়েছে, আই শুড বি দেয়ার। এই ভাবনা থেকে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে পড়াশোনা শেষে অভিনয়কে পেশা হিসেবে বেছে নেন ফেরদৌস। ‘বুকের ভেতর আগুন’ ছবির জন্য প্রথমবার ক্যামেরার সামনে আসেন তিনি। ১৯৯৭ সালে ছবিটি পরিচালনা করেন ছটকু আহমেদ। এরপর ১৯৯৮ সালে এককভাবে নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন অঞ্জন চৌধুরী পরিচালিত পৃথিবী ‘আমারে চায় না’ ছবির মধ্য দিয়ে।
একই বছর ফেরদৌস ব্যাপকভাবে আলোচিত ও জনপ্রিয় হয়ে উঠেন ভারতের চলচ্চিত্রকার বাসু চ্যাটার্জি পরিচালিত যৌথ প্রযোজনার ছবি ‘হঠাৎ বৃষ্টি’র মাধ্যমে। এই ছবিতে অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এরপর থেকে তিনি একাধারে বাংলাদেশ ও ভারতের বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন। এছাড়া ‘মিট্টি’ নামে একটি বলিউড ছবিতেও তাকে দেখা গেছে। ফেরদৌস তার ক্যারিয়ারে চারটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন।
এখানেই শেষ নয়, প্রযোজনায়ও নাম লিখিয়েছেন এই নায়ক। ২০১২ সালে ‘হঠাৎ সেদিন’ এবং ২০১৪ সালে ‘এক কাপ চা’ সিনেমা দুটি তিনি প্রযোজনা করেন। ব্যক্তিগত জীবনে স্ত্রী তানিয়া আহমেদ এবং দুই সন্তান ছেলে নুজহাত ফেরদৌস ও মেয়ে নুজরান ফেরদৌসকে নিয়ে নায়ক ফেরদৌস আহমেদের সংসার। তার স্ত্রী পেশায় বিমানের একজন পাইলট। ২০০৩ সালের ৯ ডিসেম্বর তারা বিয়ে করেন।